1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টারনেট হয়ে উঠছে আধুনিক সময়ের গণমাধ্যম

৩ মে ২০১১

একুশ শতকের গণমাধ্যম - নতুন ক্ষেত্র, নতুন অন্তরায় - এই প্রতিপাদ্য নিয়েই সারা বিশ্বে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস৷ তবে গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন প্রথাগত মাধ্যমের চেয়ে ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে সবচেয়ে শক্তিশালী৷

https://p.dw.com/p/118BS
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ইন্টারনেটছবি: picture alliance/dpa

এক অন্যরকম সময় চলছে এখন৷ একটি সময় ছিল যখন মানুষ খুব ভোরে অপেক্ষা করতো এক কাপ ধোঁয়া তোলা চায়ের সঙ্গে সংবাদপত্রের উপর নজর বুলাতে৷ আবার অনেকে রেডিওর নব ঘুরিয়ে, কেউবা টিভির চ্যানেল পরিবর্তন করে শুনতেন এবং দেখতেন খবর৷ এখনো সেই অবস্থা অব্যাহত থাকলেও, দিন পাল্টে যাওয়ায় সংবাদ মাধ্যমের ধারণাও পাল্টে গেছে৷ এমনটাই বলছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা৷ সাম্প্রতিক আরব বিশ্বে বিশেষ করে মিশরের ঘটনা তুলে ধরে ফ্রাঙ্ক লা রু বলছেন, ‘‘বিষয়টি পরিষ্কার হবে মিশরের এক আন্দোলনকারীর টুইট থেকে৷ তিনি লিখছেন, ‘আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্ষোভের সময় ঠিক করি, টুইটারের মাধ্যমে সমন্বয় করি, আর ইউটিউবের মাধ্যমে তা বলে দিই বিশ্ববাসীকে৷এটা একটা উদাহরণ মাত্র৷'' তিনি বলেন, আমরা একটা ঐতিহাসিক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি৷

বদলে যাচ্ছে সংবাদ মাধ্যমের ধারণা৷ কিন্তু তারপরও কী সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এখন সর্বত্র রয়েছে? সাংবাদিকরা কী মুক্ত? তা নয়৷ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা যেমন ঘটছে, ঠিক তেমনি হচ্ছে কন্ঠ রুদ্ধ করে দেবার ঘটনাও৷ প্রতিনিয়ত সেখানে সাংবাদিকদের উপর হুমকি-ধামকি তো রয়েছেই৷ এ কথাই জানাচ্ছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্ট৷ নতুন দিল্লিতে এই প্রতিষ্ঠানটির একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে আজ৷

Remote Control © Stephen VanHorn #6997050 - Fotolia.com, USA, Undatierte Aufnahme, Eingestellt 05.04.2011
কেউবা টিভির চ্যানেল পরিবর্তন এখন আর নয়ছবি: Fotolia/Stephen VanHorn

বলা হয়েছে, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাস কবলিত পরিস্থিতি সাংবাদিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে৷ নেপাল এবং শ্রীলংকার সংঘর্ষ কবলিত অবস্থার অবসানে সাংবাদিকদের কিছুটা ভালো অবস্থানে রেখেছে৷ ভারতের কাশ্মীর এবং মাওবাদীদের সংঘাত কবলিত এলাকায় সাংবাদিকদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ৷ এই রির্পোটে বলা হয়েছে, আইআইজে বাংলাদেশ, ভুটান এবং মালদ্বীপের সাংবাদিকতার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে৷

এদিকে, এই দিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আটক সকল সাংবাদিক এবং ব্লগারের মুক্তি চেয়েছে৷

বলে রাখা ভালো, ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক জাতিসংঘ ১৯৯৩ সাল থেকে এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে৷ এই সিদ্ধান্তের আলোকেই বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে এই দিন৷ সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ করা হচ্ছে দিনটিতে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক