জার্মানিতে স্কুলে নাৎসি ও হলোকস্ট বিষয়ে ক্লাস
জার্মানির স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীরা নাৎসি যুগ সম্পর্কে কী শেখে? সেই বিষয়টি জানতে সম্প্রতি বার্লিনের একটি স্কুল পরিদর্শন করেছে ডয়চে ভেলে৷
বাধ্যতামূলক
জার্মানিতে স্কুলে হলোকস্ট নিয়ে পড়া বাধ্যতামূলক৷ তবে পাঠ্যসূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জার্মানির ১৬টি রাজ্য কর্তৃপক্ষ স্বায়ত্তশাসিত হওয়ায় হলোকস্ট বিষয়টি কীভাবে এবং কতটুকু পড়ানো হচ্ছে, সে বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে৷ ছবিতে বার্লিনের হলোকস্ট মেমোরিয়াল দেখা যাচ্ছে৷
বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা
নাৎসি আমলে প্রাণ হারানো ও বেঁচে যাওয়া প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের তথ্য আছে ‘আরলজেন আর্কাইভস’ নামে এক সংস্থার কাছে৷ এ বিষয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংগ্রহ তাদের কাছে আছে৷ হলোকস্ট বিষয়ে শিক্ষা কর্মসূচি তৈরি ও পাঠদানের বিষয়ে জার্মানির স্কুলগুলোকে সহায়তা করে আরলজেন আর্কাইভস৷
উদ্দেশ্য
আরলজেন আর্কাইভসের কর্মকর্তা বির্টে পাটা বলেন, ‘‘লক্ষ্য হলো, ঐতিহাসিক ঘটনাবলী ছাড়াও আরও অন্য কিছু শেখা৷’’ তিনি বলেন, ‘‘কেবল নাৎসি যুগে যা ঘটেছিল তা নয়, সেই সময়ের সামাজিক সমস্যাগুলি কী ছিল তা বোঝার সক্ষমতাও গড়ে তোলা৷ উদ্দেশ্য হলো, ছাত্রদের ঐতিহাসিক-রাজনৈতিক বিতর্কে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করা এবং বর্তমান বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা৷’’
প্রথম পাঠ
নাৎসি ও হলোকস্ট সম্পর্কে প্রথম পাঠ শুরু হয় নবম শ্রেণিতে৷ ছবিতে বার্লিনের লিনা মর্গেনস্ট্যার্ন হাইস্কুলের নবম শ্রেণির একটি শ্রেণিকক্ষ দেখা যাচ্ছে৷ উনিশ শতকের জার্মান ইহুদি নারীবাদী, শিক্ষাবিদ ও অ্যাক্টিভিস্ট লিনা মর্গেনস্ট্যার্নের নামে স্কুলটির নামকরণ করা হয়েছে৷
শিক্ষার্থীরা কতটুকু জানে?
লিনা মর্গেনস্ট্যার্ন হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক কার্ল বার্কনার বলেন ‘‘বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই আডল্ফ হিটলারের নাম জানে, ন্যাশনাল সোশ্যালিজম টার্মটাও জানে৷ তাদের মধ্যে একটা অংশ হলোকস্ট সম্পর্কেও জানে, কিন্তু জ্ঞানটা নির্বাচিত এবং এতে অনেক ফাঁক আছে৷’’
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া
‘‘ইতিহাস ক্লাস ছাড়া, তখন কী ঘটেছিল সে বিষয়ে আমি জানতে পারতাম না৷ আমার বাবা-মাও খুব বেশি কিছু জানেন না,’’ বলেছে এক শিক্ষার্থী৷ আরেকজন বলেছে, ‘‘অতীত থেকে ভবিষ্যৎ আসে, ইতিহাস বর্তমানকে প্রভাবিত করে৷’’ পাশে বসা আরেক শিক্ষার্থী জানায়, ‘‘আমার মা আমাকে তথ্যচিত্রের লিংক পাঠায় যেটা তার একজন শিক্ষক বন্ধু তাকে পাঠিয়েছে৷’’