1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সু চির নোবেল প্রত্যাহার হচ্ছে না

৩০ আগস্ট ২০১৮

মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়ন ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য সমালোচিত অং সান সু চির পুরস্কার প্রত্যাহার করবে না নোবেল কমিটি৷

https://p.dw.com/p/341eN
ছবি: picture-alliance/AP Photo/G. Amarasinghe

নরওয়ের নোবেল ইন্সটিটিউটের পরিচালক উলাভ নিউলিস্তা বুধবার বলেছেন, ‘‘নোবেল কমিটির কাছে শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহারের কোনো প্রশ্নই নেই৷ নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিধান তা অনুমোদন করে না৷''

মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯১ সালে এনএলডি নেতা সু চিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়৷ সে সময় কারাবন্দি থাকায় সু চি এই পুরস্কার গ্রহণ করেছিলেন ২১ বছর পর৷

পাঁচ দশকের বেশি সময়ের সেনা শাসনের পর মিয়ানমারে ২০১৫ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে সু চির দল৷ সাংবিধানিক বাধার মুখে প্রেসিডেন্ট হতে না পেরে স্টেট কাউন্সিলর পদ নিয়ে তিনিই কার্যত দেশটির সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন৷

গত বছর রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের মুখে কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়৷ সংখ্যালঘু এই জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন বন্ধে ব্যর্থতা এবং নিপীড়কদের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়েন সু চি৷ তাঁর নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারেরও দাবি ওঠে৷

এদিকে রোহিঙ্গা নিপীড়নের একবছর পূর্তি উপলক্ষে ২৭ আগস্ট জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর ‘গণহত্যা' চালানোর জন্য মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের দায়ী করা হয়েছে

‘সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল' 

সেনাবাহিনীর দমনাভিযানের পক্ষে যুক্তি না দিয়ে সু চির পদত্যাগ করা উচিত ছিল, বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিদায়ী হাই কমিশনার জেইদ রা'আদ আল হুসেন৷

বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘‘তিনি (সু চি) এমন এক পদে ছিলেন যেখান থেকে কিছু করতে পারতেন৷ তিনি চুপ থাকতে পারতেন, অথবা আরো ভালো হতো, তিনি পদত্যাগ করতে পারতেন৷''

এএইচ/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য